২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। রোববার (২২ জুন) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়।
কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে না
চলতি বাজেটে আলোচিত কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এর আগে অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কেনা এবং ভবন নির্মাণে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হলেও, নাগরিক ও বিশেষজ্ঞ মহলের সমালোচনার মুখে সেই প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাই না, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণের চাপে ফেলবে। তাই কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ এ বাজেটে রাখা হয়নি।”
বাজেটের আকার ও কাঠামো
গত ২ জুন টেলিভিশনে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। সেখানে চলতি অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৭ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর-এর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৩.৬ শতাংশ।
৫.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য
নতুন বাজেটের মাধ্যমে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
নাগরিক মতামতের ভিত্তিতে বাজেটে পরিবর্তন
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গত ১৯ জুন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে বাজেট সম্পর্কে মতামত গ্রহণ করা হয়। এরপর প্রাপ্ত মতামতের আলোকে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে বাজেটের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।