২ বহিরাগতের নিয়ন্ত্রণে সরকারি অফিস!

যুগান্তর প্রতিবেদক
 ছবি: যুগান্তর
ছবি: যুগান্তর

সরকারি কর্মচারী না হয়েও করছেন প্রকল্পের সব ধরনের কাজ। ফাইল স্বাক্ষর থেকে শুরু করে, বদলি, দাপ্তরিক কাজ, প্রকল্পের বিল পাস সবই করছেন তারা। প্রকল্প কর্মকর্তার বিশেষ সহকারী হিসেবে পরিচিত পাওয়া এই দুই ব্যক্তি হলেন- কুষ্টিয়া জেলার শাওন ইসলাম ও বগুড়া জেলার শাকিল আহম্মেদ রকি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহেল রহমান গত বছরের ডিসেম্বর যোগদার করেই নিজ ক্ষমতা বলে ওই দুইজনকে চিতলমারীতে নিয়ে আসেন।

Advertisement

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিআইও অফিসের এক কর্মচারী বলেন, ‘ওই দুই ব্যক্তির দাপটে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন অফিসের কর্মচারীরা। কেউ কোনো কিছু বলতে গেলেই তাকে অন্যত্র বদলির হুমকি দেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। তাই ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।’

তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহেল রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাজের গতি আনতেই ওই দুজনকে অন্যত্র থেকে এনে অফিসের কাজ করাচ্ছি। অফিস থেকে তাদের কোনো বেতন দেওয়া হয় না।’ এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কাজে আসা অনেক সেবাপ্রার্থী বহিরাগত ওই দুজনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকে তুলেছেন অসদাচরণের অভিযোগ।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে গেলে দেখা যায়, ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে শাওন ইসলাম উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুজ্জামানের টেবিলে চেয়ার পেতে দাপ্তরিক কাজ করছেন। শাকিল আহম্মেদ রকি দাপ্তরিক কাজ করছেন, কার্যসহকারী নিজামুল ইসলামের টেবিলের চেয়ারে বসে। 

 

 

 

অষ্টমীরচর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি অফিসে বহিরাগতদের দিয়ে অফিস করানো ঠিক নয়। তাছাড়া এদের আচরণও ভালো নয়। 

থানাহাট ইউনিয়নের ছোট কুষ্টারি এলাকার আমির হোসেন বলেন, প্রকল্পের কোনো কাজে অফিসে গেলেই তাদের কাছে আগে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। কেন এসেছেন, কী জন্য এসেছেন, সঙ্গে এত লোকজন নিয়ে কেন এসেছেন, নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে গেলে দেখা যায়, ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে শাওন ইসলাম উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুজ্জামানের টেবিলে চেয়ার পেতে দাপ্তরিক কাজ করছেন। শাকিল আহম্মেদ রকি দাপ্তরিক কাজ করছেন, কার্যসহকারী নিজামুল ইসলামের টেবিলের চেয়ারে বসে। 

শাকিল আহম্মেদ বলেন, ‘আমাকে পিআইও নিয়ে এসেছেন। কোনো নিয়োগ বা অনুমতিপত্র আমার কাছে নেই।’ 

এ বিষয়ে চিলমারী ইউএনও সবুজ কুমার বসাক বলেন, সরকারি কর্মচারী নীতিমালা অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বহিরাগতদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ ত্রাণ শাখায় কাজ করে কি না এমনটি আমার জানা নেই।

এলাকার খবর

সম্পর্কিত