আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার এক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী আমিনুল গনি টিটো-কে অপসারণ করেছে। তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টে শেখ হাসিনার ফাঁসি চাওয়ার পর তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার সকালে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে চাইলে আদালত তার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁকে মামলা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। শুনানিকালে টিটো স্বীকার করেন, গত ৫ আগস্ট তিনি যে পোস্টটি করেছিলেন সেটি তাঁরই।
পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনাল ঢাকার বিশেষ আদালতের সাবেক পিপি আমির হোসেন-কে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টিটো বলেন, ‘ফেসবুক পোস্টটি ছিল আমার রাজনৈতিক মতামতের অংশ, আর এটি আমার পেশাগত দায়িত্ব থেকে ভিন্ন। আমি কোনো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট দেখছি না। আজ শুনানি হলে আমার পক্ষে প্রমাণ করার সুযোগ থাকত যে আমি আইনজীবী হিসেবে ক্লায়েন্টের স্বার্থ কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখি।’
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এম এইচ তামিম জানান, আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইনজীবী হিসেবে টিটোকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিতর্কিত তথ্য সামনে আসায় তিনি নিজেই নিজেকে মামলাটি থেকে প্রত্যাহারের আবেদন করেন, যা ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করে।
এদিকে মামলার অ্যামিকাস কিউরি এ ওয়াই মশিউজ্জামান মামলার প্রস্তুতির জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন, যা মঞ্জুর করেছে ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে।