ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ করেছেন একজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। গতকাল মঙ্গলবার নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির কাছে লেখা এক চিঠিতে আইনপ্রণেতা বাডি কার্টার এ সুপারিশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চিঠিতে বাডি কার্টার লিখেছেন, ‘ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অস্ত্র তৈরি থেকে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক দেশটিকে থামানোর ক্ষেত্রে তাঁর অসাধারণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার দিতে সুপারিশ করছি।’
বাডি আরও লিখেছেন, যুদ্ধবিরতি অনেকেই অসম্ভব মনে করেছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রভাবের কারণে দ্রুত যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
বাডি লিখেছেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার যে আদর্শগুলোকে স্বীকৃতি দিতে চায় যেমন- শান্তির সাধনা, যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রীতির অগ্রগতি সেগুলো এই সংকটের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের নেতৃত্বে বিদ্যমান ছিল। তিনি বিশ্বকে আশার এক বিরল আভাস দিয়েছেন। এই কারণে, আমি সম্মানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে বিবেচনা করার জন্য এই মনোনয়ন জমা দিচ্ছি।’
ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেয়ার দাবি এই প্রথম নয়। কিছুদিন আগে ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংকটে ‘কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দেয়ার’ স্বীকৃতি হিসেবে ট্রাম্পের জন্য এ আনুষ্ঠানিক সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।
নোবেল পুরস্কার ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এখন পর্যন্ত ৩৩৮ জন প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়েছে।
তবে ট্রাম্প গত শুক্রবার তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘আমি যাই করি না কেন, আমি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাব না। ইসরায়েল–ইরান যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পাব না, ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পাব না, এমনকি সার্বিয়া–কসোভো যুদ্ধ বন্ধ করার জন্যও নোবেল শান্তি পুরস্কার পাব না।’