ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশের মানুষ কোরআন ও ইসলামী আইন বাস্তবায়নের জন্য রক্ত দিয়েছে। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয় মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ খুনি, দখলদার, চাঁদাবাজদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতির নির্বাচন চালু হলে আর কেউ স্বৈরাচার হতে পারবে না।’
সমাবেশ শেষে একটি ঘোষণাপত্রও দেয় ইসলামী আন্দোলন। এতে বলা হয়, ‘সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের সাথে “আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি” এ বিষয়টি অবশ্যই পুনঃস্থাপন করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের জন্য ইসলাম হলো রক্ষাকবচ। তার প্রতিফলন সংবিধানের মূলনীতিতে থাকতে হবে।’ একইসঙ্গে জুলাইয়ের মধ্যে 'জুলাই সনদ' ঘোষণার আহ্বান জানায় দলটি।’
ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, নির্বাচনের আগে প্রশাসন ঢেলে সাজাতে হবে এবং দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজনের দাবি জানানো হয়।
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সকল চুক্তি প্রকাশ এবং দেশবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবিও তোলে ইসলামী আন্দোলন।